Posts

Showing posts from October, 2017

স্বর্গ ভ্রমণ - ভু স্বর্গ

Image
 ভু স্বর্গ দিন গুলো কিভাবে কেটে যায় ।  মনে হচ্ছে এই তো কদিন আগেই ঘুরে আসলাম এই সুন্দর জায়গা গুলো থেকে। আসলে যে সময়ের কাটা দুটো আর ক্যালেন্ডারের পাতা গুলো ৪ বছর পেরিয়ে এসেছে। কিন্তু আজও দিন গুলো রেইনফরেস্টের মতই সজীব হয়ে আছে মনে। খুব সুন্দর একটা ভ্রমণ ছিল। সেই ভয়ংকর সুন্দর রাস্তা গুলোর আঁকা বাঁকা পথ মন আর মস্তিষ্কে যে ছাপ ফেলেছে তা ওই গিরিখাত গুলোর মতই গভীর।  ভয়ংকরকে দূরে ঠেলে শুধু সুন্দরের টানেই বার বার যেতে ইচ্ছা করে। সোলাং ভ্যালিতে হাটু অবধি বরফে গেঁথে স্নো ম্যান বানানো কিংবা দাল লেকে বিকেলে সিখারায় ভ্রমণ। আর আমাদের গাইড + ড্রাইভার ফিরোজের পেন্ড্রাইভের সেই একটাই গান “জাব তাক হায় জান” ,হাহাহাহা। আহ্ লেখাটা লিখতে গিয়ে বুকে ধিপধিপানি ব্যথা উঠে গেল, কি জানি বলে – Sweet pain! দিল্লি থেকে ভলভোতে কুল্লু হয়ে মানালি ভাড়া ৮০০ রূপি (২০১২-১৩ সালে)। কলকাতা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়,তবে আমরা দিল্লী ঘুরে তারপর মানালি গিয়েছি। বাস থেকে নেমেই কিছু ভাল হোটেল আছে। আমরা ” Hotel Yak” এ ছিলাম। লোকেশন ভাল। আশেপাশে রেস্টুরেন্ট আর কাপড়-চোপড়ের দোকান আছে। কেনাকাটা করতে চাইলে একটু দরদাম করে নিত

দার্জিলিং ভ্রমন , হোটেল ও খরচ

Image
দার্জিলিং ভ্রমন , হোটেল ও খরচ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। কল্পনা নয় সত্যি। এখানে মেঘ দেখা যায়, ছোঁয়া যায়। এজন্য প্রয়োজন হয় না পাখির মতো ডানা থাকা কিংবা উড়োজাহাজে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর। শুধু প্রয়োজন কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় বের করে স্বদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। তবেই হারিয়ে যাওয়া যাবে বাস্তবের মেঘের দেশে। খুব কাছ থেকে অনুভব করা যাবে মেঘের উষ্ণতা। দেখা যাবে মেঘের লুকোচুরি খেলা। এই খেলায় মেতে ছিলাম আমরা কয়েকজন। ইচ্ছে হলে দূর্গা পুজোর এই লন্বা ছুটিতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন শিলিগুড়ি ও শৈলশহর দার্জিলিং। যাত্রা শুরু হলো শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যে ৬ টায় আমরা পৌঁছে গেলাম এয়ার ভিউ মোড়ে। পরের দিন সকালে নাস্তার টেবিলে মিনি মিটিংয়ের সারসংক্ষেপ হচ্ছে দার্জিলিং যাওয়া। এয়ার ভিউ থেকে অটোতে চড়ে সোজা মালাগুড়ি মোড়। এখানেই হোটেলের সামনে থেকে খুব সহজেই দার্জিলিং যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যায়। সিঙ্গেল ২০০-২৫০ টাকা, রিজার্ভ ৭০০-৮০০ টাকা । আমরা এবার দার্জিলিংয়ের পথে।  উঁচু পাহাড়ের কোল ঘেষে সরু রাস্তা বেয়ে আমরা যেন শুধু উপরেই উঠছি। কি পরিমান উপরে আছি তা নিচে তাকালে বোঝা মুশকিল। এমনকি ভয়ে আৎকে উঠতে পারেন। তাই দা

ছোটবেলার রসগোল্লা

Image
স্কুলে থাকতে সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি লেখা পড়েছিলাম। নাম রসগোল্লা।  গল্পের বিষয়বস্তু ইউরোপীয় এক এয়ারপোর্টের কাস্ট পুলিশের রসগোল্লা চিনতে না পারা এবং গল্পের নায়ক ঝান্ডুদার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও ব্যপক রসবোধ। ঝান্ডুদা সারাজীবনের জন্য আমার মগজে গেঁথে গিয়েছিলেন, বিশেষ করে তাঁর চামড়ার ব্যাগটার কারণে। সেটায় নানান দেশের, নানান এয়ারপোর্টের আগমন ও বহির্গমনের টিকেট সাঁটা যা প্রমাণ করে ঝান্ডুদা কত অহরহ বিদেশ ভ্রমন করেন।  সৈয়দ মুজতবা আলী ঝান্ডুদাকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দেশে ফিরছেন না দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তখন থেকে বড় হয়ে ঝান্ডুদার মত দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবো এরকম স্বপ্ন দেখেছি শুধু। মাঝে মাঝে সৈয়দ মুজতবা আলীকেই মনে হত ঝান্ডুদা। ইচ্ছে হত তাঁর মত পনেরটা ভাষা জানবো। মনে মনে নজরুলের কবিতা আওড়াই, “থাকবোনাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগৎটাকে, কেমন করে ঘুরছে মানুষ, যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।” অবশেষে আমার প্রথম বাংলাদেশের সীমানা পার হবার সুযোগ ঘটে ১৯৮৪ সালে। তখন আমার বয়স মাত্র দশ। সেই গল্প আরেকদিন বলবো। আজকের গল্পের সময় কাল ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্