Posts

Showing posts from January, 2017

শ্নোনেংপেডেং – স্বচ্ছ জলের সাথে মিতালী

Image
মেঘালয়ের ডাউকির ছোট্ট গ্রাম শ্নোনেংপেডেং (অনেকে সোনাংপেডেং লিখে থাকে)। অখ্যাত এই গ্রামটিই হয়ে উঠেছে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কি আছে ছোট্ট এই গ্রামে? যার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে এই গ্রামে। প্রথম ছবিটা দেখি পানির নীচের, দেখেই মুগ্ধ! এত সুন্দর। বাকি ছবিগুলোর সাথে জাফলংয়ের অনেক মিল আছে। ডাউকি হয়ে ভিসা করেছিলাম, শিলং যাবার জন্য। গত জুলাইতে ঘুরে আসি শিলং, ভিসার মেয়াদ এখনও কয়েকমাস বাকি। এদিকে নাফিজ ভাই ঘোষণা দিয়ে দিলেন মাত্র ৩,৫০০ টাকায় ঘুরে আসা সম্ভব। ভিসা যেহেতু করা ছিল, আগের ট্রিপের ২,০০০ রুপিও বাসায় ছিল, সিদ্ধান্ত নিলাম যাওয়াই যাক। । নতুন একটা স্নোরকেলিং সেট আনিয়েছি আমেরিকা থেকে, একবার মাত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটারও একটু সদ্ধ্যহার হয়ে যাবে। রওনা দেবার মাত্র দুই দিন আগে ভয়াবহ দু:সংবাদ। এক আকস্মিক ঘোষণায় ৫০০ ও ১,০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করেছে ভারত। কঠিন তারল্য সংকটে ভুগছে ভারত, ওখানে থাকা বাংলাদেশি পর্যটকরা আছেন বিপদে। এই অবস্থায় অবস্থায় এই ভ্রমণ বাতিল করার মতই অবস্থা। এত মন খারাপ হলো সবার। জরুরী বৈঠক ডাকা হলো, দলের জৈষ্ঠ্য সদস্যরা বসে ঠিক করবে এই অবস্থায়

সোনাংপেডেং, মেঘালয়

Image
মেঘালয় রাজ্যের ডাউকির অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম সোনাংপেডেং (অনেকে শ্নোনেংপেডেং লিখে থাকে) যা জৈন্তা হিলস জেলার অন্তর্গত। সোনাংপেডেং গ্রামটি শিলং থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং ডাউকি বর্ডার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাশেই পাথুরে নদী উমংগট, যার পানির রং ঘন সবুজ আর স্বচ্ছ। দিনের বেলা পাথুরে নদীতে মাছ ধরে, স্নোরকেলিং/রাফটিং/কায়াকিং/বোটিং আর স্বচ্ছ পানিতে গোছল করে দিনটি খুব ভাল ভাবেই পার করে দিতে পারবেন। রাতে এখানেই করতে পারেন ফায়ারক্যাম্প আর বারবিকিউ। ২য় দিন আসে পাশের বেশ কিছু ঝর্নাও চাইলে দেখতে পারেন। করতে পারবেন ট্রেকিং, জিপলাইনিং আরও অনেক কিছুই। বোটে করে জলপ্রপাতের কাছাকাছি যাওয়া যাবে। বোটিংয়ের জন্য নির্ধারিত সময় সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা। অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। কায়াকিং এর জন্যে কায়াক ভাড়া পাওয়া যায়। সম্ভাব্য খরচঃ আপনি যদি বাজেট ট্রাভেলার হন এবং আপনার গ্রুপ যদি ৬ জনের হয় সেক্ষেত্রে একজনের সম্ভাব্য খরচ – ঢাকা টু সিলেট – ২৮৫ টাকা ( ট্রেন) সকালের নাস্তা – ৪০ টাকা সিলেট টু তামাবিল – ১০০ টাকা তামাবিল টু সোনাংপেডেং – ১৫০ টাকা দুপুরের খাবার -১৫০ টাকা কটেজ – ৩৫০

জার্মানিতে ৪০ বছর: পুরনো বন্ধুদের নতুন করে চেনা

Image
জার্মানিতে আসার পর ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা যে এত সুন্দর হবে, সেটা আগে কল্পনাই করতে পারিনি। অবশ্য এসব কিছুর কৃতিত্ব ছিল নুরু ভাইয়ের । সকালে উঠে নুরু ভাই নিজেই আমাদের নাস্তা আর চা খাওয়ালেন। ওই সময়ের জন্য তিনি হয়ে গেলেন আমাদের অভিভাবক। নাস্তা শেষ করার পর নুরু ভাই জানালেন, আমাদেরই আরেক স্কুলের বন্ধু ফরহাদের কাছে নিয়ে যেতে চান। ফরহাদ হচ্ছে রশিদ, নিলু ও আমার বাল্যবন্ধু। ক্লাস থ্রি থেকে হাই স্কুল পর্যন্ত আমরা একসাথে পড়েছি। ফরহাদ ছোটবেলায় আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। কিন্তু কলেজ জীবনে ফরহাদ ছাত্রলীগের দিকে ঝুঁকে পড়ায়, আর রশিদ ও আমি ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হয়ে ওঠায় আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের দূরত্ব বেড়েছিল। তাই ওর বাসার দিকে যাওয়ার সময় সংকোচ হচ্ছিল। কিছু না জানিয়ে ওর ওখানে গেলে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে সেটা ভাবছিলাম? আমরা তখন জার্মানিতে একেবারেই ভাসমান। তাই যেখানেই আশার আলোর সম্ভাবনা থাকবে সেখানেই আমাদের যেতে হবে। মজার বিষয় হলো, নুরু আর ফরহাদ আমাদের প্রায় ছয় মাস আগে ফ্রাঙ্কফুর্টে গেছে। যদিও তারা দু’জনই ছাত্রলীগের জগন্নাথ কলেজ শাখার নেতৃস্থানীয় ছিল এবং সব সময় একসাথেই চলাফেরা করতো, তব

জার্মানিতে ৪০ বছর: রাজনৈতিক আশ্রয় নাকি ছাত্র ভিসা?

Image
আমার ছোটবেলার বন্ধু ফরহাদের একটা গুণ লক্ষ্য করে এসেছি। সে সবসময় বন্ধুবান্ধব প্রিয় মানুষ, আর দল বাধার একটা ঝোঁক  আছে ওর মধ্যে। এই ফ্রাঙ্কফুর্টে এসেও দেখলাম, ছয়মাসের মধ্যে ওর একটা ছোটখাটো দল হয়ে গেছে। তার পরিচিতরা প্রায়ই ওর ওখানে আসা-যাওয়া করত। এ কারণে আমাদের সুবিধা হল যে আমরা কারও কারও কাছ থেকে জার্মানিতে থাকার পদ্ধতি, কাজের পরিবেশ- এসবের ধারণা ঘরে বসেই পেতে শুরু করলাম। মোটা দাগে সে সময় জার্মানিতে থাকার দু’টো পথ ছিল। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করা, আর আরেকরটি হচ্ছে ছাত্র হিসেবে থাকার আবেদন করা। প্রথম পথটি ছিল আপেক্ষিকভাবে সহজ আর দ্বিতীয়টি ছিল ঘোরানো। সুবিধা-অসুবিধা স্বাভাবিকভাবে দুটো পথেই ছিল। যেমন- রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে কাজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া আর খাবার টাকা পাওয়া যায়। অন্যদিকে ছাত্র হলে সব খরচ নিজেকেই চালাতে হতো এবং একজন ছাত্র শুধু ছুটির সময় কাজের পারমিশন পেত। জানতে পারলাম, আশ্রয় প্রার্থনা করে যারা আবেদন করবেন, তারা দেশের বাইরে তো নাই-ই, এমন কি অনুমতি ছাড়া জার্মানির অন্য শহরেও যেতে পারবেন না। নৈতিকতার কারণে নয়, তখন আমার কাছে বড় হয়ে দ

অবিকল সুন্দরবন

Image
শ্বাসমূলের ফাঁকে ফাঁকে পা দিয়ে চলতে হয় দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো জেলায় ভ্রমণের সুযোগ এলে মন ছটফট করে ওঠে। আঁকাবাঁকা নদ-নদী। গাছের সারি। ঘাটে ঘাটে হরেক রকমের মাছ। এর সঙ্গে যদি সংবাদ সংগ্রহের কাজ যোগ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এমনই কাজে গিয়েছিলাম বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায়। টানা দুই দিন কাজ করার পর আমাদের প্রথম আলোর প্রধান ফটোসাংবাদিক জিয়া ইসলাম বললেন সময় বের করতে পারলে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের দিকে একটু ঘুরে আসতে। সঙ্গে ছিলেন আমাদের আরেক ফটোসাংবাদিক আশরাফুল আলম। কুয়াকাটায় চলার পথে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রথম আলোর পটুয়াখালী প্রতিনিধি শংকর দাশ ও কলাপাড়া প্রতিনিধি নেসারউদ্দিন আহমেদ। চারজনের কুয়াকাটায় যেতে যেতে ঘড়ির কাঁটায় সময় হয়ে এল বেলা দুইটা। পেটে প্রচণ্ড খিদে। হোটেলে বসে খাচ্ছি আর আলোচনা করছি—কী করা যায়। আশরাফের তাগিদ ছিল ছবি তোলার। কথার ফাঁকে শংকর বললেন, চলেন ফাতরার বনে যাই। দেখতে অবিকল সুন্দরবনের মতো।’ ঝটপট ব্যবস্থা হলো। কুয়াকাটা থেকে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা চলে গেছি আন্ধারমানিক নদের তীরে, বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। যাওয়ার পথে একপাশে ছিল সাগর, অন্য পাশে চ

Terrorist world's worst. Terrorist. পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট তম টেররিস্ট।সন্ত্রাসী।

Image
1 - Hitler, a non-Muslim. 60 million Jews were killed. He once told the media that the Christian Terrorist !!! II - Joseph Stalin, a non-Muslim. He's 0 million people were killed, and 14. 5 million people became sick and died dhuke dhuke. He once told the media that the Christian Terrorist !!! 3 - Mao Zedong, a non-Muslim. 0 to 14 million people have been killed! He once told the media that a Buddhist Terrorist !!! 4 - musalini (Italy), killed 4 million people! He was a Muslim? The media did not say a single moment Christian Terrorist blind !!! 5 - Asoka (Kalinga betala) killed 100 thousand people! He once told the media that Hindu Terrorist !!! 6 - The judge Bush in Iraq, in Afghanistan killed about 1.5 million people! The media did not say, Christian Terrorist !!! 7 - yet every Muslim Rohingya in Myanmar, murder, rape, looting, are evicted! Buddhists are not yet any media Terrorist !!! History is witness to the massacre of Muslims in the earth in those day

রহস্যময় লাল গ্রহে চার বছর! The mysterious red planet for four years!

Image
পৃথিবীর বাইরে যে গ্রহগুলো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটি হলো মঙ্গল। বহু আগে থেকেই বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই গ্রহেই হয়তো মানুষ্যবসতি সম্ভব হবে। সেই আগ্রহ থেকেই নাসা লাল গ্রহে পাঠিয়েছিল কিউরিওসিটি রোভার। দেখতে দেখতে ৪ বছর পেরিয়েছে কিউরিওসিটি গ্রহটিতে অবস্থান করছে। মঙ্গলের হিসাবে ১৪২১ দিন রহস্যময় গ্রহটিতে রয়েছে পৃথিবীর যান। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মঙ্গের মাউন্ট শার্পসহ আরো অনেক কিছু পরীক্ষা করে বেড়াচ্ছে কিউরিওসিটি। সেখানে তুলেছে অনবদ্য কিছু ছবি। সুদীর্ঘ সময়ে কিউরিওসিটির তোলা অবনবদ্য কিছু ছবি দেখে নেওয়া যাক। সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি

সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ সামরিক যান - The most expensive 10 military vehicles

Image
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস আমেরিকা নামে ৩.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এ বিমানবাহী রণতরীটি নির্মিত হয়েছে। এটি গ্যাস টারবাইন জেনারেটরের সাহায্যে পরিচালিত হয়। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ১১ হাজার নটিক্যাল মাইল। এতে ৩৪টি বিমান অবস্থান করতে পারে। এইচএমএস অ্যাসটিউট নামে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের এ সাবমেরিনটি একটি নিমিজ ক্লাস সাবমেরিন। এটি ৩০ নট বেগে চলতে পারে। এর টর্পেডো ৩০ মাইল দূর থেকেও শত্রুপক্ষের জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এর মিসাইলের পাল্লা এক হাজার মাইল। এছাড়া নানা আধুনিক যন্ত্রপাতিও রয়েছে এতে। লিয়াওনিং নামে চীনের এ বিমানবাহী রণতরীটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২.৪ বিলিয়ন ডলার। ভ্যারিয়াগ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নাম দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের এ বিমানবাহী রণতরীটি যখন তৈরি হচ্ছে, সে সময়েই ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায় এবং ইউক্রেনের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়। এরপর এটি চীন কিনে নেয়। এরপর তার কাজ সম্পন্ন করে লিয়াওনিং নাম দেওয়া হয়। ৯৯৯ ফুট দৈর্ঘ্যের এ জাহাজটির ওজন প্রায় ৬৫ হাজার টন। চার বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্রান্সের চার্লস ডি গাউলি নামে এ বিমানবাহী রণতরিটি। এটি বাস্তবে ১৯৮৬ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়।

ওম পুরিকে নিয়ে কিছু অজানা তথ্য

Image
              ওম অ্যান্ড নাসির: নাসির উদ্দিন শাহ-এর সঙ্গে আমৃত্যু বন্ধুত্ব ছিল ওম পুরির। একসঙ্গে কাজ করেছেন বহু সিনেমায় ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস তাকে মনে রাখবে ‘আক্রোশ’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘যানে ভি দো ইয়ারো’র মতো সিনেমার জন্য। নাসির উদ্দিন শাহ, শাবানা আজমী আর স্মিতা পাতিলদের সমসাময়িক ওম পুরি চলে গেছেন চিরতরে; তবে পৃথিবীজুড়ে সিনেমাভক্তদের হৃদয়ে জ্বলবে তার স্মৃতির দীপশিখা। ভারতীয় নানা গণমাধ্যমে তার দেওয়া সাক্ষাৎকার, বন্ধুদের স্মৃতিচারণ আর অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা তথ্যে জানা যায় শক্তিমান এই অভিনেতার ব্যক্তিজীবন ও ক্যারিয়ারের নানা অজানা দিক। ওম পুরি শাবানা আজমি: শাবানা আজমীর সঙ্গেও দারুণ বন্ধুত্ব ছিল ওম পুরির ওম পুরির জন্ম কবে? আম্বালার এক পাঞ্জাবী পরিবারে জন্ম ওম পুরির। তার জন্মের দিনক্ষণ সরকারিভাবে নিবন্ধন না করায়, ওম পুরির মা নিজেও জানতেন না, তার ছেলের সঠিক জন্মতারিখটি। শুধু বলতেন, দুর্গাপূজার দুদিন আগে ১৯৫০ সালে জন্ম তার। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় নিজের জন্মতারিখ ৯ মার্চ, ১৯৫০ লিখতেন ওম পুরি। পরবর্তীতে পঞ্জিকা ঘেঁটে তিনি বের করেন, ওই বছরের দুর্গাপূজার দুদিন আগের তারিখটি ছি